১০০% যে কোন মেয়ে আপনার প্রেমে পড়ে যাবে! ১৭টি উপায়।
১০০% যে কোন মেয়ে আপনার প্রেমে পড়ে যাবে! ১৭টি উপায়।

১. মহিলা দেখলেই হামলে পড়বেন না। পার্টি হোক বা পারিবারিক অনুষ্ঠান অথবা বন্ধুমহল পছন্দের মানুষকে চোখ দিয়ে মাপুন। দেখার চেষ্টা করুন তাঁর নজর কোথায়। পারলে, তাঁর দৃষ্টিপথের আশপাশেই থাকুন। আগ বাড়িয়ে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
২. নজরে পরিচিত হলে এবার এগোন পরিচয়-পর্বের দিকে। তার দিকে তাকিয়ে হাসুন। আড়চোখে বোঝার চেষ্টা করুন, সে আদৌ আপনাকে খেয়াল করছে কি না। পারলে তার পরিচিত গণ্ডির মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করুন। সুযোগ বুঝে হাসিমুখে ‘হাই’ বা ‘হ্যালো’ বলুন। এমন আচরণ করবেন না যে, আপনাকে তাঁর ‘হ্যাংলা’ বলে মনে হয়।
৩. ‘হাই-হ্যালো’-র মধ্যে পরিচয়টা সেরে ফেলুন। জানার চেষ্টা করুন, তার কাজ ও পড়াশোনা নিয়ে। এর বেশি এগোবেন না। যদি, মনে হয় আরও একটু কথা বলা যাচ্ছে, তাহলে কিছু জোকস শেয়ার করুন। হাসির কথা বলুন। বোঝানোর চেষ্টা করুন আপনি একজন কৌতুকপ্রিয় মানুষ।
৪. পরিচয়ের এই পর্বটাকে এগিয়ে নিয়ে চলুন। একবারও বোঝানোর চেষ্টা করবেন না আপনি শুধু তার সঙ্গেই কথা বলতে আগ্রহী। পারলে তার আশপাশে থাকা অন্য মেয়েদের সঙ্গেও পরিচয় করার চেষ্টা করুন।
৫. এবার সুযোগ বুঝে কথার আড়ালে মনের জনের সঙ্গে মোবাইল নম্বরটা এক্সচেঞ্জ করে নিন। জেনে নিন এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপ না সরাসরি মোবাইলে কথা বলা— কোনটা তার বেশি পছন্দ? কোন সময়ে এসএমএস পাঠালে তিনি বিরক্ত হবেন না? সেইসঙ্গে জানুন, মোবাইলে তাকে কোন সময়ে বেশি পাওয়া যেতে পারে। পারলে জানিয়ে দিন, আপনাকে কাজের খাতিরেই সবসময় মোবাইল খোলা রাখতে হয়। দিন হোক বা রাত— যে কোনও সময়েই আপনাকে মোবাইলে পাওয়া যায়।
৬. পছন্দের নারীর ফোন নম্বরটা না হয় জোগাড় করলেন, এবার? পারলে তার অন্য কোনও বান্ধবীদের মোবাইল নম্বরগুলিও সংগ্রহে রাখুন। এরপর পছন্দের নারীর সঙ্গে তার বান্ধবীদেরও মজার মজার হোয়াটস্অ্যাপ মেসেজ পাঠান।
৭. এমন এমন কিছু মেসেজ পছন্দের মানুষটিকে পাঠান, যা তার বান্ধবীদের পাঠাননি। একটু চালাকিও করতে পারেন, কিছু জনকে এমন মেসেজ পাঠান, যা আপনার পছন্দের নারীটিকে পাঠাবেন না। দেখবেন, খেলা জমে গেছে।
৮. সাক্ষাতের সময়ে জানার চেষ্টা করুন, কেমন ছিল মেসেজ। তার বান্ধবীদেরও জিঞ্জেস করুন তাদের কেমন লেগেছে। পছন্দের নারীর মন বোঝার চেষ্টা করুন অন্যদের পাঠানো মেসেজ তার কাছে না আসায় সে রাগ করেছে কি না। পারলে, কথায় ব্যস্ত রাখুন এবং প্রমিস করুন রাতে ফোন করবেন।
৯. সাত সন্ধ্যায় ফোন করে বসবেন না। একটু রাত করে মেসেজ পাঠিয়ে জানতে চান, ফোন করা যাবে কি না। উত্তর এল ভাল, না এলেও ভাল। মিনিট দশেক পরে কপাল ঠুকে ফোনটা করেই ফেলুন। কথার ফাঁদ এমন পাতুন যেন পরম বন্ধুর মতো কথা বলছেন। ফোনে হাসি-ঠাট্টা যখন চরমে তখনই বলুন পরে কথা হবে, এখন কাজ আছে।
১০. পরে দেখা হলে বলুন প্রচণ্ড ব্যস্ত। অমুক সময়ে দেখা হবে। দেখা করেই প্রথমেই গতরাতের কথোপকথন আচমকা শেষ করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিন। সরাসরি জিজ্ঞেস করুন তার রাগ হয়েছে কি না। জানান, আজ রাতে ফের ফোন করবেন।
১১. রাতে ফের ফোন করুন। মজার মজার কথা বলুন। ফোন রেখে দিন।
১২. পরের ২ দিন আর ফোন করবেন না। পারলে দিনের বেলাতেও এড়িয়ে চলুন।
১৩. দেখুন ২ দিন পরে রাতে পছন্দের নারী নিজে ফোন করছেন কি না। প্রথমে ফোন ধরবেন না। কল কাটবেনও না। কিছুক্ষণ পরে নিজেই ফোন করে বলুন ব্যস্ত থাকায় ফোনটা ধরতে পারেননি। কথা বলুন, মজা করুন।
১৪. যদি আপনার পছন্দের জন ফোন করে ভাল, না হলে নিজেই ফোন করুন, কথার ফাঁকে বলুন কাল কোথাও খেতে যাবেন তাঁকে সঙ্গে নিয়ে।
১৫. চলে যান প্রথম ডেটিং। খাবারের টেবিলে আছিলায় তার হাতের ছোঁয়া নিন। বেরিয়ে পাশাপাশি হাঁটার সময় হাত দিতে তাঁর হাতে ঠেকান। পারলে আঙুল দিয়ে হালকা করে ছুঁয়ে দিন।
১৬. সেই রাতেই ফোন করুন, আর ফোন যদি ওপ্রান্ত থেকে আসে তাহলে তো সোনায়া সোহাগা। বুঝবেন গাড়ি ট্র্যাকে এসে গেছে।
১৭. মোবাইলে এবার একটু অ্যাডাল্ট হাসি-ঠাট্টা করুন। এরপর বুঝে নিন সম্পর্ক এখানেই থামাবেন না এগিয়ে নিয়ে যাবেন, কারণ আর একটু হাঁটলেই সেই মহেন্দ্রক্ষণকে ছুঁয়ে ফেলতে পারেন আপনি।
কোন মন্তব্য নেই